ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আমজেদ আলী খান গং এর ওয়ারিশদের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা। ওয়ারিশ দুলাল খান,শাহ আলম খান উভয় পিতা মৃত আমজেদ আলী খানসহ একাধিক অংশিদার রয়েছে। পিতার মৃত্যুর পরে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ওয়ারিশ হয়েছে। উক্ত ওয়ারিশগনের মধ্যে মো.জামাল খান একাই বেশি সম্পত্তি ভোগদখলে করে বলে অভিযোগ সকলের। অন্য ভাই বোনের ওয়ারিশরা তাদের সম্পত্তি ভূঝিয়া না পাওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বঞ্চিত ওয়ারিশরা একত্রিত হয়ে(২২ জানুয়ারি) শুক্রবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে জমি-জমার পরিমাপ করে ভাগ বাটোয়ারায় জন্য বসেন। এ ব্যাপারে হারুনর রশিদ খান বলেন,আমার পিতা আমজেদ আলী খানের মৃত্যুর পর আমার ভাই জামাল খান জবরদখল করে অনেক সম্পত্তি ভোগদখল করে। জামাল খানের স্ত্রী সৈয়দা নুসরাত জাহান (মান্না) একজন দরজাল মহিলা তার ভয়ে আমরা জমি ভোগদখল করতে পারিনি। এই মহিলা ২০১১ সালে আমাদের ৩জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঝালকাঠি আদালতে একটি মিথ্যা মামলা নং ১৭৬ দায়ের করে। আমার ভাইয়ে স্ত্রী হয়ে আমার নামে ধর্ষণ মামলা করেছিল। সৈয়দা নুসরাত জাহান (মান্না) বরিশালের এক নেতার খালাতো বোন পরিচয় দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। কথায় কথায় বলে বরিশালে ভাই আমার খালাতো ভাই? তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। শাহ আলম খান বলেন, আমরা কি বলবো,আপনি এলাকার মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করেন জামান খানের স্ত্রী সৈয়দা নুসরাত জাহান (মান্না) একজন ভূমি দস্যু সে জবর দখল করে জমি জমা ভোগকরা তার পেশা। মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের উপর যে,খর্গ চালাচ্ছে এর বিচার চাই। আমরা ওয়ারিশরা একত্রিত হয়েছি জমি-জমা ভাগ বাটোয়ারা করার জন্য কিন্তু সৈয়দা নুসরাত জাহান (মান্না) আমাদের বাড়ির সামনে মরিচের গুঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,আমাদের গায়ে মারার জন্য। মো.সোহাগ হাওলাদার বলেন,আমরা সৈয়দা নুসরাত জাহান মান্নার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এর বিচার চাই। সে পারে না এমন কোন কাজ নাই। আমাদের সম্পত্তি জোর করে ভোগদখল করছে এই মহিলা। অন্যান্য ওয়ারিশরা একই অভিযোগ জানিয়েছেন,এই অত্যাচারিত মহিলা সৈয়দা নুসরাত জাহান মান্নার হাত থেকে জমি ভুঝিয়া পাইতে পারি ও ঝালকাঠি পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, আমি ও প্যানেল চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্যরা উভয় পক্ষের সালিশ মিমাংশার জন্য চেষ্টা করছি। সকল ওয়ারিশরা উপস্থিত হয়েছে? কিন্তু সৈয়দা নুসরাত জাহান মান্না ও তার স্বামী জামাল খান বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। মহিলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের গালাগালি করতেছে। এ ব্যাপারে মগড় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.জসিম হাওলাদার বলেন,আমজেদ আলী খানের ওয়ারিশদের মধ্যে জমি-জমার ভাগ ভাটোয়ারা করার জন্য আমরা সকলকে নিয়ে বসেছি। জমি পরিমাপ করার জন্য সার্ভেয়ার নিয়েছি। তারা সঠিক ভাবে বণ্টন নামা করে দেবেন। উভয় পক্ষের স্বাক্ষর দিয়েছে তার বলে আমরা সালিশিতে বসেছি। একজন ওয়ারিশ আসেনি জমাল খান ও তার স্ত্রী সৈয়দা নুসরাত জাহান মান্না তাদেরকেও আমরা জানিয়েছি। পরের বৈঠকেও তাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বলবো। এ ব্যাপারে জামাল খানের স্ত্রী সৈয়দা নুসরাত জাহান মান্না বলেন,আমার ভাসুর দীর্ঘ ৭১ সাল থেকে পাগল,সেই পাগল ৩বছর হইছে মারাগেছে। পাগল কে আমার কাছে শাগরদির সালাম চেয়ারম্যান সহ সবাই আমার নামে রোয়েদাত করে জমি দিয়েছে। আমি পাগলের জায়গা বহনকরছি। এই জমি-জমা নিয়ে আমার শ্বশুরের কোর্টে ৪টি মামলা চলে। আমি একজন মহিলা হয়ে কিকরে এতো বছর ৪টি মামলা চালাইলাম? এই কথা কোন ওয়ারিশরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেনা যে,এই ৪টি মামলা চালাও টাকা পয়সা পাও কোথায়। একপর্যায় নেতা কর্মি টকার প্রভাবে আমাকে উলফট করে নিয়েছে। আমার বাড়ির নাসির কে ৫০হাজার টাকা দিয়ে আমাকে মেরেছে। তারা নেতাকর্মি নিয়ে একক ভাবে আমার জমি মাইপপা নিয়ে যায়। আমি একটি ভাটারা মামলা করেছি যাহার নম্বর ২/তারিখ ২০২১। আমি পাগল ভাসুরের সেবাজত্ন করায় সে আমাকে তার জমি রোয়েদাত করে দিয়েছে। সেই পাগলের জমি খাওয়ার জন্য সকল ওয়ারিশরা আমার পিছনে লাগছে।#
Leave a Reply